নাদিম আহমেদ অনিক:
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ২ নং নিরমইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এর বিরুদ্ধে ব্যাক্তি মালিকানা লিজ নেওয়া পুকুর দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। উক্ত (চেয়ারম্যান)এর বিরুদ্ধে সাপাহার উপজেলা সদরের চৌধুরীপাড়ার মৃত: জিল্লুর রহমান চৌধুরী’র ছেলে সদর ইউপি’র ১ নং ওয়ার্ড সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী অভিযোগ করেন, তার লিজ নেওয়া দিঘী ও পুকুরে হঠাৎ করে চেয়ারম্যান ১২/১৩ জন লোকজন নিয়ে গিয়ে দিঘী ও পুকুরে খাবার দেয়া, মাছ ধরা শুরু করে। এমনকি দিঘী ও পুকুরের পানিতে নামা নিষেধ করেন আমাদের এবং অবৈধ্য ভাবে দখলের চেষ্টা করেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, মিজানুর রহমান চৌধুরী নিজ নামিয় ও শরীক মালিকদের কাছ থেকে প্রায় ৮.৮০একর একটি দিঘী ও ১.৩০ একর (পুকুর) গত বছরের ৫ মে তিন বছরের জন্য লিজ নিয়ে মাছ চাষ করে যাচ্ছেন। উক্ত লিজ নেয়া দিঘী ও পুকুরটি দাতাদের নামে সিএস, এসএ, এবং আরএস রেকর্ড প্রাপ্ত হইয়াছে এবং দাতাদের নামে নওগাঁ জেলা জর্জ আদালত এর ৩৪/১৯ অ: প্র: মোকাদামার রায় ও ডিগ্রি সূত্রে প্রাপ্ত। কিন্তু হঠাৎ গত বছরের ১০ ডিসেম্বর পত্নীতলা উপজেলার নিরমইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ তার ১২/১৩ জন লোকজন নিয়ে গিয়ে দিঘী ও পুকুরে খাবার দেয়া, মাছ ধরা এমন কি পুকুরের পানিতে নামা নিষেধ করেন। এ অবস্থায় লিজ গ্রহিতা মিজানুর চৌঃ দুশ্চিন্তায় রয়েছে যে কোন সময় তার দিঘী পুকুরের মাছ লুট হতে পারে। আর তা হলে তিনি বড় ধরনের লোকশানে পড়বেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
এমনকি পথে বসবেন। দিঘী ও পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে যাওয়া ও আমাকে সর্ব হারিয়ে দিয়ে পথে নামিয়ে দিবেন বলে হুমকি ধামকি বিভিন্ন ভাবে প্রদান করছেন চেয়ারম্যান। রির্পোট লেখা পর্যন্ত দিঘী ও পুকুরে মাছের খাদ্য দেওয়া বন্ধ করে রেখেছে চেয়ারম্যান অাবুল কালাম অাজাদ বলে জানান মিজানুর চৌঃ। এমতাবস্থায় তিনি প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেছেন।
চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ দিঘী ও পুকুরে নামতে নিষেধ করার কথা স্বীকার করে জানান,দিঘী ও পুকুরটি আমরা সরকারের কাছ থেকে তিন বছরের জন্য লিজ নিয়েছিলাম। মাঝখানে মিজানুর রহমান চৌধুরী ব্যাক্তি মালিকানা দাবী করে আদালত থেকে একটি রায় বের করেন। আমরা সেই রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দিঘী ও পুকুরটি তাকে ছেড়ে দেই। এখন ওই আদালতের রায় টির উপর উচ্চ আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। আর এর ভিত্তিতে আমরা দিঘী ও পুকুরে তাকে নামতে নিষেধ করেছি এবং মাছের খাদ্য দিতেও নিষেধ করেছি।কারণ এখনো সরকারের কাছ থেকে আমাদের লিজ নেয়ার মেয়াদ রয়েছে।
এ বিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ,দিঘী ও পুকুরটি সরকারি খাস সম্পত্তি ছিলো। সে অনুযায়ী সরকারি বিধি মোতাবেক দিঘী ও পুকুরটি লিজও দেয়া ছিলো। কিন্তু ব্যাক্তি মালিকানা দাবি করে কিছু ব্যাক্তি তাদের পক্ষে আদালতের রায় আনেন। সেই আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে ওই ব্যাক্তিদের দিঘী ও পুকুরটি বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এবং দিঘী ও পুকুটি সরকারি খাস সম্পত্তি দাবি করে সরকার পক্ষ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। তাদের রায় উচ্চ আদালত স্থগিত করেছেন কিনা সে বিষয়ে এখনো কোন নথি পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দেন পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন সরকার।
Leave a Reply