শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৩২ পূর্বাহ্ন

টেকনাফে র‌্যাবের অভিযানে অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্য আটক, উদ্ধার ৩

রিপোর্টারের নাম / ১২২ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন বৈদ্যঘোনা গভীর পাহাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত তিনজন উদ্ধারসহ অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-১৫ এর সদস্যরা। কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার ও সহকারী পরিচালক (ল’এন্ড মিডিয়া) মো. শামসুল আলম খান গণমাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

সহকারী পুলিশ জানান, র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পে ঠান্ডা মিয়া (৬৫) অভিযোগ দায়ের করেন, গত ২৫ মার্চ ভোরে তার ছেলে আমান উল্লাহ (১৯) ও তার ছেলের বন্ধু সিরাজুল মোবিন (১৮) বাড়ি থেকে ফজরের নামাজের উদ্দেশ্যে বের হয়। তারা হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডস্থ উলুবুনিয়া রাস্তার মাথায় পৌঁছালে কতিপয় ব্যক্তি তাদের নিকট থেকে সিএনজি মেরামতের জন্য একটি গ্যারেজের সন্ধান চায়। সরল বিশ্বাসে পার্শ্ববর্তী একটি গ্যারেজের সন্ধান দেখানোর উদ্দেশ্যে তারা গাড়িতে উঠলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কতিপয় অপহরণকারী জোরপূর্বক তাদের অপহরণ করে পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যায়। অপহরণকারীরা অপহৃতদেরকে একটি আবদ্ধ ঘরে শিকল দিয়ে বেঁধে তালাবন্দী করে রাখে এবং ১নং ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোন থেকে তার পরিবারের নিকট ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকিসহ বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে।
রবিবার সন্ধ্যায় র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিসি-১ টেকনাফ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল টেকনাফ থানাধীন আল জামিয়া আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার সামনে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অপহরণকার চক্রের মূলহোতা টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মাঠপাড়ার নজির আহমেদের ছেলে নবী হোসেন (২৭) ও জাহিদ হোসেন প্রকাশ কাবিলাকে (২২) আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা অপহরণের কথা স্বীকার করে এবং তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একইদিনে টেকনাফ থানাধীন বৈদ্যঘোনা (নতুন পল্লান পাড়ার) গভীর পাহাড়ি এলাকা থেকে আমান উল্লাহ (১৯) ও সিরাজুল মোবিনকে (১৮) উদ্ধার করা হয়। অভিযানে গত ২৫ মার্চ বিকালে উখিয়া থানাধীন কুতুপালং এলাকা থেকে অপহৃত অপর ভুক্তভোগী আবু তাহেরকে (২৭) উদ্ধার করা হয়। এছাড়া অপহরণকারীদের দখল থেকে দুইটি রাম দা, ২৫ ফুট শিকল, ৮টি তালা, দুইটি চাবির ছড়াসহ ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

এই ঘটনায় আমান উল্লাহর পরিবার বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ( মামলা নং-৬৩)।

সহকারী পুলিশ সুপার জানান, উদ্ধারকৃত ভুক্তভোগীদের স্ব-স্ব পরিবারের নিকট হস্তান্তরপূর্বক আটককৃত আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir