শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন

তিস্তার পানি বিপদসীমার উপরে,নতুন করে বন্যার আশঙ্কা।

মহিনুল ইসলাম সুজন / ৩২৪ বার দেখা হয়েছে
আপডেট করা হয়েছে


ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে ফের তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।এতে করে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা ও লালমনিরহাটের মাঝামাঝি অবস্থিত তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে সোমবার (১ আগষ্ট) সকাল থেকে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও বিকেল ৩টায় তা বেড়ে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ও সন্ধ্যা ৬ টায় ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়ে নদী বেষ্টিত এলাকার মানুষদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।আর তাই নতুন করে বন্যার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদীর বাম তীরের চরখড়িবাড়ি এলাকার দেড় কিলোমিটারের বালুর বাঁধের প্রায় একশত মিটার নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে।বাঁধের ভেতর দিয়ে নদীর পানি চরে প্রবেশ করায় সেখানকার শত-শত বিঘার আমন ধান ক্ষেত তলিয়ে যেতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীরা।এ ছাড়া নদীর ডান তীরের প্রধান বাঁধ ঘেষে নদীর পানি প্রবাহিত হওয়ায় সেখানকারও শত-শত বিঘা জমির আমন ক্ষেতও পানিতে তলিয়ে গেছে। অন্যদিকে উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় পানি অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে।টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা জানান, বামতীরে যে বালির বাধটি রয়েছে সেটি তারা স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরী করেছিল পাঁচ বছর আগে।সেই বাঁধটির নদীগর্ভে বিলিন হতে শুরু করেছে।এই ইউনিয়নে হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।খগাখড়িবাড়ি এলাকায় সারে তিনশত পরিবার, খালিশাচাঁপানী এলাকায় চারশত পরিবার, ঝুনাগাছ চাপানী এলাকার তিনশত পরিবারের বসত ভিটা তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা।সব থেকে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে খালিশা চাঁপানী ইউনিয়নে।খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান সরকার জানান,আমার ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।ক্ষতি হয়েছে অনেক আমন চারা রোপণকৃত ক্ষেতের।
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক জানান,উজানের ঢল ও নদীর পানি বাম তীরে চাপ বেশী থাকায় বালির বাঁধটি ভাঙতে শুরু করেছে।


পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন জানান,তার এলাকার কয়েক শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা বলেন, সোমবার সকাল থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার দুই সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।বিকেল তিনটায় বিপদসীমা অতিক্রম করে ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সন্ধ্যা ৬টায় পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।ব্যারেজের সবকটি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।





আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
Theme Created By Limon Kabir