সন্ত্রাসী হামলায় পা হারানো সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ সরোয়ার বলেছেন, যে মাটিতে আমার রাজনীতির হাতেখড়ি হয়েছে। সেখানেই আমাকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হলো। হাইব্রীডদের প্রশ্রয় দেই নাই। এ কারণেই আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছে।
রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা থেকে চিকিৎসা শেষে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের নিজ এলাকায় দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সংবর্ধনার জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান কি অপরাধ করেছিলাম। ৩৪ বছর ধরে রাজনীতি করি। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসকে প্রতিরোধ করেছি। কেউ টু শব্দ করতে পারে নি।
আমার কোন লোভ-লালসা নেই। শহীদ মনসুর আলীর আদর্শের রাজনীতি করি। মোহাম্মদ নাসিম ও তানভীর শাকিল জয়ের কর্মীদের কোন লোভ-লালসা থাকতে পারে না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার উপর হামলা হলো-আওয়ামীলীগ আমার জন্য কি করেছে। একটা প্রতিবাদ সভা করে নাই। অপেক্ষায় ছিলাম। আওয়ামীলীগ একটি পরিবার। পরিবারের একজন সদস্যের কিছু হলে সবাই এগিয়ে আসবে। কিন্তু সেটা হয়নি।
এ্যাম্বুলেন্সযোগে শহীদ সরোয়ার ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জের পিপুলবাড়িয়া এলাকায় পৌঁছলে মোটর সাইকেল, ট্রাক, অটোরিকশা করে হাজার হাজার নারী পুরুষ তাকে বরণ করে। ওই এ্যাম্বুলেন্সযোগেই তাকে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি কাজিপুর উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ও গান্ধাইল মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল ও সমাবেশে শহীদ সরোয়ারের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে শ্লোগান দেয় তার সমর্থকেরা। এ সময় বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক রাজীব আহম্মেদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আসাদ শেখ, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়া, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল শেখ ও যুবলীগের সাবেক সভাপতি হায়দার আলীসহ বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার (১৫ জানুয়ারি) শহীদ সরোয়ারের ওপর হামলা চালিয়ে দুই পা কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দূর্বৃত্তরা। দীর্ঘ ২৯ দিন ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসার পর নিজ এলাকায় ফেরেন তিনি। এ ঘটনায় আহত আওয়ামী লীগ নেতার বোন বাদী হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহম্মেদসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।