দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ৬ ইউনিয়ন পরিষদে চতুর্থ ধাপে আগামী ২৬ ডিসেম্বর ভোট অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি-জামায়াত দলীয় প্রতীকে এই নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র পরিচয়ে মাঠে নেমেছেন দলটির প্রার্থীরা। উপজেলায় ৬ ইউপিতে বিএনপি-জামায়াতের ১৮ নেতা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য নির্বাচন করছেন। তাদের মধ্যে একজন বর্তমান চেয়ারম্যানও রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয় সূত্র ও বিএনপির একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, ১নং আলোকঝাড়ি ইউনিয়নে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা এ্যাড. আ স ম আতাউর রহমান, আলোকঝাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহবায়ক অধ্যক্ষ গোলাম কিবরিয়া জেহাদ।
২ নং ভেড়ভেড়ী ইউপিতে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য নুরল হক সরকার, উপজেলা বিএনপির সদস্য ও ভেড়ভেড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেহরাজুল হক সূফী, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও ভেড়ভেড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য রিয়াজুল ইসলাম বাবুল, বিএনপির সমর্থক মনছুর আলী। এছাড়াও জামায়াতের অঙ্গ সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এর দলচ্যুত সাবেক সেক্রেটারী মোঃ এনামুল হক।
৩ নং আঙ্গারপাড়া ইউপিতে বিএনপির সমর্থক সাবেক চেয়ারম্যান আঃ জব্বার শাহ্ ও তাঁর ছোট ভাই অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহ্ মোঃ জামাল উদ্দিন।
৪নং খামারপাড়া ইউপিতে উপজেলা বিএনপির সদস্য ও খামারপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলী সরকার ও উপজেলা বিএনপির সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক চৌধুরী। এছাড়াও জামায়াতের সমর্থক পশু পল্লী চিকিৎসক আবু বক্কর সিদ্দিক।
৫নং ভাবকি ইউপিতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক রবিউল আলম তুহিন ও বিএনপির সমর্থক খায়রুন নাহার আশা।
৬ নং গোয়ালডিহি ইউপিতে উপজেলা বিএনপির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন লিটন, বিএনপির সমর্থক আব্বাস আরেফিন শাহ্, আঃ রহমান ইফতি ও রমজান আলী।
উপজেলার ৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি- জামায়াতের প্রার্থীদের পক্ষে নেতাকর্মীরা পুরোদমে প্রচার প্রচারণায় নামলেও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক চৌধুরী বিএসসি বলেন, দলীয়ভাবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করছে না। আমরা কাউকে দলীয় মনোনয়ন দিইনি। কেউ ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন করতেই পারেন। আমরা কাউকে সমর্থনও করবো না। আওয়ামী লীগ সরকার ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটে না আসার ঘোষণা আছে বিএনপির। এ কারণে দলটি চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কাউকে মনোনয়ন দেয়নি।