মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে স্থিতিশীল রয়েছে। পানি না বাড়লেও বিপদসীমার ৫০ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ায় সিরাজগঞ্জে সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার প্রায় ২২টি ইউনিয়নসহ সিরাজগঞ্জ পৌরসভার কয়েকটি নিমাঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যার কারণে জেলার ৬ হাজার ৯২ হেক্টর জমির পাট- আউস ধানসহ শাকসব্জি তলিয়ে গেছে। এতে কৃষকরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বন্যার কারণে রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বন্যা কবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও শিশু খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে যমুনার অরক্ষিত অঞ্চলে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। মাত্র ১০দিনের ব্যবধানে প্রায় চার শতাধিক বসতভিটা ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বন্যা এলাকায় এখনো সরকারী বেসরকারী সহায়তা পৌছেনি। তবে গত বছরের তালিকা অনুযায়ী গত দুদিনে কাজিপুর ও চৌহালীতে ভাঙ্গনের শিকার প্রায় দেড়শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ৫০ হাজার করে টাকাসহ ত্রাণ সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। বন্যার কারনে গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। কোরবানীর আগে প্রয়োজনীয় খাদ্যের চাহিদা মেটাতে না পারায় গবাদি পশু স্বাস্থ্যহীনতা হতে শুরু করায় কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় পড়েছে। বন্যার কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সুত্রধর জানান, চলতি বছর বন্যায় ৫টি উপজেলার নিমাঞ্চলের ৬ হাজার ৯২ হাজার হেক্টর জমির আউস ধান, পাট, তীল, কাউন ও বাদামসহ শাকসব্জি নস্ট হয়ে গেছে। এতে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। বন্যা শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরী করে মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হবে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে স্থিতিশীল রয়েছে। পানি বিপদসীর উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে নদীতীর সংরক্ষন বাঁধে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এছাড়াও যেসকল পয়েন্টে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছিল সেখানে জিওব্যাগ ফেলে নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে।