একটি বিদ্যালয় যুগ যুগ ধরে স্বনামেই শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরাও বেশ খুশি। কারণ প্রতিষ্ঠানটি গ্রামীণ অঞ্চলে হলেও শহরের সাথে তাল মিলিয়ে চলে আধুনিক শিক্ষা কার্যক্রম। আইসিটি ল্যাবসহ আধুনিক সকল সুবিধাই রয়েছে এই বিদ্যালয়ে।
কিন্তু সম্প্রতি বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটিতে সদস্য হওয়ার সুযোগ না পেয়ে সাজানো গোছানো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম ব্যহত করতে উঠেপড়ে লেগেছে একটি কুচক্রী মহল। এ কারণে মিঠাপুকুর উপজেলার বুজরুক সন্তোষপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও রয়েছে নানা জটিলতায়। ফলে কাংখিত শিক্ষা অর্জন থেকেও পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে জানা গেছে, বিদ্যালয়টি করোনা অতিমারির ধকল কাটিয়ে উঠার পরে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করার সিন্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। নিয়মানুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি গঠনের জন্য স্থানীয় বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নোটিশ টাঙিয়ে প্রচারনাও চালায়। প্রচার-প্রচারণা শেষে নোটিশ মতে মনোনয়ন ফরম বন্টন করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
সবকিছু যখন ঠিকঠাক চলছে এমন সময় মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময়ের ১ দিন পর নিজের প্রভাব খাটিয়ে মনোনয়ন ফরম নিতে আসেন কয়েকজন অভিভাবক। কিন্তু সময় শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে তাদেরকে মনোনয়ন ফরম বন্টনের সময় শেষ বলে জানিয়ে দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিদুর রহমান। এরপর একজন অভিভাবক উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন। অভিযোগটি করেছেন ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর মানবিক শাখার শিক্ষার্থী সুশমিতা আক্তারের পিতা সোহেল রানা।
অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, শিক্ষার্থী সুস্মিতা আক্তার বিদ্যালয় খোলার পর থেকেই অনুপস্থিত থাকেন। এ কারণে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে নোটিশের বিষয়টি ওই শিক্ষার্থী জানতে পারেনি বলে জানান প্রধান শিক্ষক। তবে ওই অভিভাবকের অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত চলছে বলে জানান মিঠাপুকুর মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।
এ বিষয়ে অভিভাবক সোহেল রানার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। দিনের বেশিরভাগ সময় তিনি এলাকার বাইরে অবস্থান করার কথা জানান স্থানীয়রা।
প্রধান শিক্ষক মহিদুর রহমান বলেন, সবকিছু নিয়ম মেনেই করা হয়েছে তারপরেও একটি চক্র মিথ্যা অভিযোগ এনে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত করার পায়তারা করছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয় এমন কিছু করতে দেয়া হবেনা। আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার তাছরিন আখতার বলেন, আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরাও বিষয়টা বুঝতে পারছেন কিন্তু আপনাদের মধ্যে কিছু লোক না বুঝেই শুধু বিরক্ত করে এটা ঠিক না। তবুও বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখবেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি উভয়পক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
TPN24- রাব্বি হাসান হৃদয়