সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভূইয়াএর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে বেলকুচি পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আকতার হামিদের বিরুদ্ধে।
জানা যায় রবিবার(৫জুন) ভাঙ্গাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদে কাজ শেষ করে আনুমানিক বিকাল ৫টার সময় মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন, বেলকুচি থানার পাশে রজনীকান্ত সড়কে মাজেম মিয়ার গরান নামক স্থানে পৌছালে এ সময় লোহার রড কাঠের বাটাম দিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আকতার হামিদের নেত্রীত্ব ১০/১২জন জহুরুল ভুইয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কীত ভাবে সন্ত্রাসী হামলা চালায় এ সময় চেয়ারম্যান জহুরুল ভূইয়াকে রক্ষা করতে গেলে ভাঙ্গাবাড়ি ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কাদের তালুকদার (ন্যাড়া কাদের)কে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
গুরুতর অবস্থায় ইউপি সদস্য কাদের তালুকদারকে প্রথমে বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়, অবস্থার সংকটাপন্ন দেখে পরবর্তীতে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হসপিটালের ভর্তি করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান জহরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আকতার হামিদের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন হল মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত চরচালার মাসুম ওসুবর্ণসারা গ্রামের রিজন, আদাচাকি গ্রামে হাফিজের ( পিতা বুদ্দু) কাছে মাদকের টাকার জন্য তারা যায়, টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা মারপিট করে। এমত অবস্থায় আমি উপজেলা পরিষদে আসার সময় আহত পরিবারের লোকজন আমাকে বিষয়টি জানায়, আমি তখন তাদের গার্জিয়ানদের সাথে কথা বলে পরবর্তীতে একটি মীমাংসার কথা বলে তাদেরকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে উপজেলা পরিষদে যাই।
পরিষদের কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে রজনী কান্ত সেন ভাঙ্গাবাড়ী রাস্তার মাজেম মিয়ার গড়ানে বেলকুচি পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আকতার হামিদ আমাকে প্রথমে গাড়ি রোধ করে পরবর্তীতে তাদের হাতে থাকা রড,কাঠের বাটাম দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালায়। আমাকে রক্ষা করার জন্য আমার সাথে লোকজন আগায়া গেলে তাদের উপরও সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
হামলায় আমি সহ বেশ কয়েকজন আহত হই। তার মধ্যে আমার পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের তালুকদার গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় প্রথমে বেলকুচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় পরবর্তীতে অবস্থার সংকটাপন্ন দেখা দেওয়ায় সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে।
বেলকুচি পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আকতার হামিদ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি মারামারি থামানোর জন্য চেষ্টা করেছি।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন বিষয়টি আমি অবগত, শোনা মাত্রই বেলকুচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফোর্স পাঠিয়েছিলাম। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।