এ.এন.এম মাহফুজুল হক (বাবলু) যিনি ফুলপুর উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের মেডিকেল এসিন্টেন হিসেবে কর্মরত আছেন অভিযোগ রয়েছে তিনি নিয়মিত অফিস না করেই শেরপুর রোডস্থ রিফাত মেডিকেল হল নামের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ ভিজিট নিয়ে রোগী দেখে আসছেন।
এইদিকে আদালতের এক নির্দেশে বলা হয়েছে,বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল অ্যাক্ট ২০১০(২০, ডিসেম্বর ২০১০-এ প্রকাশিত গেজেট) এর ধারা ২২(১) ও ২৯(১) এর আওতায় MBBS/BDS বাদে অন্য চিকিৎসকদের নামের আগে ডাঃ(ডাক্তার) পদবী ও নামের পরে ডিগ্রী ব্যবহার অপরাধ । এদিকে আদালতে আদেশ অমান্য করে একজন মেডিকেল এসিস্টেন্ট হয়ে দীর্ঘদিন যাবত নামের আগে ডাঃ এ.এন.এম মাহফুজুল হক বাবলু (ডাঃ) পদবী ব্যবহার করে আসছেন।
বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,এলাকায় ডাক্তার পদবি প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে এবং পৌর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় পৌরসভার আনোয়ার খিলা নামের রাস্তার নাম পরিবর্তন করে ডাঃ মাহফুজুল হক বাবলু নামে নামকরণ করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয় যা এখনো বাসার হোল্ডিং প্লেটসহ সরকারি বিভিন্ন কাগজে পত্রে আনোয়ার খিলা রোড নামেই পরিচিত এই ঘটনায় এলাকায় চাপা ক্ষুপ বিরাজ বিরাজ করছে।
জানা যায়, ডাঃ মাহফুজুল হক বাবলু ফুলপুরের ঐতিহ্যবাহী সুনামধন্য ফুলপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ স্থাপনের স্বপ্নদ্রষ্টা, সাইটসিলেকশনকারী ও জমি ক্রয় করা হিসেবে দাবি করেন আসছেন।
এই বিষয়ে উক্ত কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে তারা বলেন, তার দাবি গুলো সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট ভিত্তিহীন। এই কলেজের স্বপ্নদ্রষ্টা আমরা এই (নাম) পাঁচ জন ছিলাম তবে এই কলেজ স্থাপনের পর যে কেউ স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে দাবি করতে পারে। মূলত আমরা এই পাঁচ জন স্বপ্ন দেখেছিলাম আমরা এই পাঁচজন মিলে আমাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিয়েছি। এই কলেজ স্থাপনের জন্য কোন জমি ক্রয় করা হয় নাই। এই কলেজের মোট এত একর জায়গায় আছে যা সম্পুর্ন দান সত্তে পাওয়া তাহলে সে কিভাবে জমি ক্রয় করা দাবি করে আমাদের জানা নেই। এই বিষয়ে তিনি আরো বলেন, আমরা যখন কলেজ নির্মাণ করি তখন আমি মাহফুজুল হক বাবলুর কাছে ৫০০ টাকার জন্য গিয়েছিলাম সে ৫টা টাকা দিয়ে সাহায্য করে নাই তাহলে সে কিভাবে স্বপ্নদ্রষ্টা দাবি করে। প্রতিবেদকের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এতদিন আমরা জানতাম না আপনার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি এই বিষয়ে কলেজের মাসিক মিটিংয়ে আলোচনা করে আমরা তাকে নোটিশ পাঠাব।
আনোয়ার খিলা বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থাকায় বলেন এক জন বলেন, এই রোডটি আনোয়ার খিলা রোড নামে জন্মের পর থেকে শুনে আসছি, হঠাৎ দেখি আনোয়ার খিলা রোডের নাম পরিবর্তন করে ডাঃ মাহফুজুল হক বাবলু নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রেখেছে । প্রতিবেদকের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মূলত ডাক্তার পদবীটি এলাকায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই রোডের নামকরন করেছেন। সে আসলে কোন এমবিবিএস ডাক্তার না সে হল মেডিকেল এসিস্টেন্ট মাত্র। একজন মেডিকেল এসিস্টেন্ট হয়ে কিভাবে ডাক্তার পদবী ব্যবহার করেছে ও চেম্বারে রোগী দেখছে এই নিয়ে জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ।