সিরাজগঞ্জের তাড়াশ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট না পড়ায় অফিস রুমে ডেকে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দুপুরে তাড়াশ সদরের সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
রবিবার সকালে স্কুলছাত্রীর বাবা মো: মজিবর রহমান প্রধান শিক্ষক আলী হাসান বিএসসি’র বিচার চেয়ে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্কুলছাত্রীর বাবা মজিবর রহমান বলেন, তাড়াশ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী মোছা: মাহিয়া রহমান শনিবার দুপুরে টিফিনের পর বান্ধবীদের সঙ্গে গল্প করছিল।
এ সময় প্রধান শিক্ষক মো: আলী হাসানের কাছে তার মেয়ে প্রাইভেট না পড়ার কারনে রেগে তাকে টেনে-হিচরে অফিস কক্ষে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। প্রধান শিক্ষক আমার মেয়েকে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
পরে আহতবস্থায় আমার মেয়েকে উদ্ধার করে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক এক্সরে করার পর বাম হাতের কব্জির উপরের হাড় ভেঙ্গে গিয়েছে বলে জানান।
তাড়াশ সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান মো: আলী হাসান (বিএসসি) বলেন, শনিবার টিফিনের পর স্কুলছাত্রী মাহিয়া মোবাইল ফোনে কথা বলছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে ডেকে এনে মোবাইল ফোন জব্দ করি। পরে সে ফেরার পথে আমাকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় অন্য ছাত্রীদের মুখে শুনে তাকে অফিস ডেকে পর্দা ঝুলানো ষ্টিলে পাইপ দিয়ে বেত্রাঘাত করেছি। এতে হাত ভাঙ্গার মত কিছু ঘটেনি।
তাড়াশ উপজেলা নিবার্হী অফিসার (ইউএনও) মো: মেজবাউল করিম জানান, স্কুলছাত্রী মাহিয়ার বাবার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
টিপিএন২৪/ আর এইচ হৃদয়