ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের এই দেশে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। আজ সোমবার অভিযানের দ্বাদশতম দিন। ইতোমধ্যে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখল করে নিয়েছে রাশিয়ার সেনারা।
এতে দেশটির বিভিন্ন নগরীতে হতাহত হয়েছে বহু সংখ্যক মানুষ।
রুশ হামলার এই পর্যায়ে রবিবার সন্ধ্যায় ভাষণ দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ সময় তিনি ইউক্রেনের মাটিতে যেসব যেসব রুশ সৈন্য নৃশংসতা করছে তাদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
হুঙ্কার দিয়ে বলেন, “আমরা তোমাদের ভুলে যাব না।
ক্ষমাও করব না। তোমাদের জন্য একমাত্র শান্ত জায়গা হবে কবর। ”
জেলেনস্কি বলেন, “বিধ্বস্ত বাড়িঘরগুলো আমরা ভুলে যাব না। আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রটি আজ (রবিবার) ওখমাতদিতের উপর রুশ মিসাইল ধ্বংস করায় যে ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে আমরা সেটিকে ক্ষমা করব না।
এবং এই ধরনের আরও পাঁচ শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের ভূমিতে আঘাত হেনেছে। ইউক্রেন জুড়ে .. আমাদের মানুষ এবং শিশুদের আঘাত করেছে। নিরস্ত্র-নিরীহ মানুষকে গুলি করা হচ্ছে। আমাদের অবকাঠামো ধ্বংস করা হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ ভুক্তভোগী হয়েছে।
লাখ লাখ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। আমরা এগুলো ক্ষমা করব না। ”
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, “ঈশ্বরও ক্ষমা করবে না। আজ কিংবা আগামীকাল, কখনওই না। ”
“আর ক্ষমার পরিবর্তে একদিন এগুলোর বিচার হবে। আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত,” বলেন জেলেনস্কি।
এদিকে, জাতিসংঘ জানিয়েছে, রাশিয়ার এই অভিযানে ইতোমধ্যে ১৫ লাখের বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনের এই সামরিক অভিযানের অর্থ যুদ্ধ নয়। বরং বিশ্বব্যাপী একটি সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রতিহত করার লক্ষ্যে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত করা, দেশটির নিরস্ত্রিকরণ ও ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তি প্রতিহত করার জন্য তিনি এই অভিযান চালাচ্ছেন।